সুমন ব্রহ্ম, ষ্টাফ রিপোর্টার (খুলনা): ডুমুরিয়া থানা পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কোমরাইল গ্রামে ছাত্রশিবিরের গোপন বৈঠকে অভিযান চালিয়ে ১০জন নেতাকর্মীকে আটক ও পাঁচটি ককটেলসহ বেশকিছু জিহাদি বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় একটি নাশকতা মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের কোমরাইল গ্রামে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম (৫৫) ও তার ভাইপো আবদুল্লাহ জোয়াদারের (২২) নেতৃত্বে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তাদের বাড়িতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক শুরু করে। খবর পেয়ে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৈঠকে অভিযান চালিয়ে তেরখাদা থানার জুলফিকার শেখের ছেলে শিবির নেতা হামিদ হাসান (২১), আন্দুলিয়ার রজব আলি আকুঞ্জির ছেলে মিকাইল হোসেন আকুঞ্জি (১৯), কোমরাইলের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে রফিকুল জোয়ার্দার (৪৮), টোলনার রেজাউল করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম পারভেজ (১৯), মিকশিমিলের শরিফুল শেখের ছেলে মাঝহারুল শেখ (১৯), বরুণার বিএম নিজাম উদ্দিনের ছেলে বিএম হাবিবুল্লাহ (১৯), রুদাঘরার ইসলাম ফকিরের ছেলে তুহিন ফকির (১৮), টোলনার মুনসুর বিশ্বাসের ছেলে তুরান বিশ্বাস (১৮), বরুনার ইউনুচ বিশ্বাসের ছেলে মাসুম বিশ্বাস (১৮) ও টোলনার রেজাউল করিম মোল্যার ছেলে আম্মান মোল্যাকে (১৮) আটক করে। এছাড়া সেখান থেকে লাল রং’র টেপ দিয়ে মোড়ানো পাঁচটি ককটেলসহ বেশ কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করে পুলিশ।
ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেন বলেন, চলমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বানচালসহ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাশকতা করার উদ্দেশ্যে ছাত্রশিবিরের লোকজন বৈঠক করছে, এ ধরনের সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ককটেল, জিহাদি বইসহ ১০জনকে আটক করি। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠকস্থান থেকে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাইপো আবদুল্লাহ জোয়ার্দারসহ অনেকেই পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানায় এসআই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি নাশকতা মামলা হয় যার নং-৩৬।